ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সম্প্রতি এক বৃষ্টিতে ইটভাটাগুলোতে এক হাজার ইটে এক হাজার টাকা বৃদ্ধি করে গাড়ি প্রতি ইটের দাম বেড়েছে দুই হাজার টাকা। এতে চরম দূর্ভোগ ও হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

গত ৩ ফেব্রয়ারী বৈরী আবহাওয়ার কারনে এক বৃষ্টিতে ইটভাটাগুলোতে কাঁচা ইট বি নষ্ট হয়। অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রভাবে প্রত্যেকটি ইট ভাটা মালিক ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে নতুন তৈরি কাঁচা ইট অপসারণ করতে পারেননি তারা। এই অসময়ের বৈরী আবহাওয়ায় ও বৃষ্টিতে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় লক্ষ লক্ষ কাঁচা ইট।

বুধবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে সন্ধ্যারই জি এইচ বি ইটভাটা সহ কয়েকটি ইট ভাটায় গিয়ে চোখে পরে এমন দৃশ্য।

এদিকে সুযোগ সন্ধানী ইটভাটা মালিকরা তাদের লোকসান পুষিয়ে নিতে পূর্বের দামের চেয়ে গাড়ি প্রতি ২ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে ইটের মুল্য। সন্ধ্যারই জি এইচ বি ইটভাটা মালিক প্রভাষক, ঠিকাদার, যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর জানান, বৃষ্টির আগে ১নং ইট গাড়ি প্রতি নেওয়া হতো ১৮ হাজার টাকা, ২নং ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো। বৃষ্টির পরে ১নং ইট গাড়ি প্রতি নেওয়া হচ্ছে ২০ হাজার টাকা, ২নং ইট ১৭ হাজার ৫শত টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এমনিভাবে সব ভাটায় বৃষ্টির কারনে দাম বাড়িয়ে ইট বিক্রি করা হচ্ছে। ইটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ইটের মূল্য নির্ধারণে সরকারি কোন পদক্ষেপ বা মৃল্য নির্ধারণ না থাকায় ইচ্ছে মত ইট বিক্রি করছে ভাটা মালিকরা। সামান্য অজুহাতে তারা এমন কাজ করছে।

কৃষক রিপন আলী জানান, ব্যবসায় লাভ লোকসান হবেই তবে ভাটা মালিকরা লাভ করবে, আর লোকসানে থাকবেন না এটা কি ঠিক? এম,আর,বি ভাটার ম্যনেজার মঞ্জুর আলম বলেন, এবার বৃষ্টিতে ভাটার ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় তা পুশিয়ে নিতে আমরা ইটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছি।

জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলায় ২৮টি ইট ভাটা রয়েছে। এ ইট ভাটাগুলোতে পুরোদমে এ অজুহাতে নতুন ইট উৎপাদনের কাজ চলছে। তারা সকলেই ইটের দাম বৃদ্ধি করে আবাধে বিক্রি করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান, বিমানের ভাড়া যেমন নির্ধারণ করা নাই, তেমনি ইটের দামও নির্ধারণ করা নাই। আমরাওতো ভূক্তভোগী ইটের বিষয়ে একটা বিহিত হওয়া উচিত।